নতুন সহ উপাচার্য হচ্ছেন ডঃ আশিসকুমার পাণিগ্ৰাহী : বর্ধমান বিশ্ববিদ‍্যালয়ে সহ উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সংঘাতে রাজ‍্যপাল ও রাজ‍্য সরকার

1st June 2020 বর্ধমান
নতুন সহ উপাচার্য হচ্ছেন ডঃ আশিসকুমার পাণিগ্ৰাহী : বর্ধমান বিশ্ববিদ‍্যালয়ে সহ উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সংঘাতে রাজ‍্যপাল ও রাজ‍্য সরকার


সৌম‍্য বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য নিয়েোগকে কেন্দ্র করে কার্যত নজিরবিহীন সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড় ও রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর । আচার্যের মনোনীত প্রার্থী ড.গৌতম চন্দ্র কে না মেনে বিকাশ ভবনের তরফে সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদে নিয়োগ করে দেওয়া হল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিস কুমার পাণিগ্রাহীকে । তাঁর নিয়োগের চিঠি বিকাশভবন থেকে ইতিমধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.নিমাই চন্দ্র সাহার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের পদটি গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শূণ্য । ড.মহুয়া সরকার ওই পদ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পদে কেউ ছিলেন না । সূত্রের খবর, সম্প্রতি লকডাউনের প্রেক্ষিতে হওয়া লেখাপড়ার ক্ষতি সামলানোর কাজে গতি অানতে ওই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর ॥ সেইমতো আচার্যের কাছে দুজনের নামের প্যানেল পাঠানো হয়। কিন্তু সেই প্যানেলের কারও নামে সায় দেন নি আচার্য ধনখড় । তিনি নিজের ইচ্ছায় ওই পদে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.গৌতম চন্দ্রের নাম প্রস্তাব করেন । এই নিয়োগ মানতে চায় নি রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর । তাদের বক্তব্য , রাজ‍্য সরকারকে এড়িয়ে আচার্যের দ্বারা এভাবে সহ উপাচার্যের নিয়োগ পুরোপুরিভাবে বেআইনি ও বর্ধমান ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ও  ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি রুলসের ৯ নং ধারার বিরোধী । এরপরেই উচ্চশিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টের ৫৮ নম্বর ধারা প্রয়োগের । এই ধারা অনুসারে এইরকম "সাংবিধানিক " সংকটের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কে বাদ রেখেই নিয়োগের সংস্থান রয়েছে । সেই মোতাবেক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের পদে সোমবারই নিয়োগ করে দেওয়া হয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সিনিয়ার অধ্যাপক ড.আশিস কুমার পাণিগ্রাহীকে । ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশিকা জারি করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.নিমাই চন্দ্র সাহাকে ড.পাণিগ্রাহীর কাজে যোগদানের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে বলে দেওয়া হয়েছে । 

উল্লেখ্য ,রাজ্যপালের সঙ্গে নানা ইশ্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য সরকারের সংঘাত তুঙ্গে । তার মধ্যেই বর্ধমান  বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের নিয়োগ ঘিরে এই মতানৈক্য সেই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে শিক্ষাবিদ মহল । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী অধ্যাপক মহলেও এনিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।